নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জার লগামহীন কথাবার্তা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কথাবার্তার বিষয়ে দ্রুতই ফয়সালা হবে এবং এ বিষয়টি এখন ফয়সালার পথেই আছে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের লাগামহীন কথাবার্তা এবং দলীয় শৃঙ্খলার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম। পাঠকদের জন্য বাহাউদ্দিন নাসিমের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অধিকার কাদের মির্জাকে কে দিয়েছে। কাদের মির্জাকে আওয়ামী লীগ ও দলের নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে যেখানে-সেখানে, রাস্তা, ফুটপাতে দাঁড়িয়ে অথবা জনসভা ও সাংবাদিক সম্মেলন করে এ ধরনের কথা বলার এখতিয়ার কে দিয়েছে। রাজনৈতিক সংগঠনের কোনও কাঠোমোর মধ্যে কি পড়ে এগুলো। এভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের সংবিধিবদ্ধ কাঠামোর মধ্যে থেকে এ ধরনের কথাবার্তা বলতে পারে কোনও নেতাকর্মী?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল এবং লাখো নেতাকর্মী রয়েছেন কাজেই কে কখন কি ধরনের কথা বলছেন সেটা দেখা আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন। তবে কেউ যদি দলীয় কাঠামো বা গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে কথা বলেন তাহলে সেইসব লাগামহীন কথাবার্তার দায় আওয়ামী লীগ নেবে না। যার যার কথার দায় তাকেই নিতে হবে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি দল কাজেই কিছু নেতা অতিউৎসাহি হয়ে লাগামহীন কথাবার্তা দলের জন্য মঙ্গলজনক নয়।
কাদের মির্জা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান ও সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরীকে বহিষ্কার করেছেন কিন্তু তিনি এটা করতে পারেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কে কার ভাই সেই বিবেচনায় আওয়ামী লীগ চলে না। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউকে বহিষ্কার করার ক্ষমতা রাখে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এবং সবার ওপরে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ ছাড়া কোনও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদককে বহিস্কার করার এখতিয়ার একজন ব্যক্তির নেই। গঠনতন্ত্রের কোন ধরা অনুযায়ী কাদের মির্জা এটি করতে পারেন সেই প্রশ্ন তাকেই করা উচিৎ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।